শান্তিগঞ্জে জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের গণসমাবেশ
সুনামগঞ্জ-৩ আসনে তালহা আলমকে প্রার্থী ঘোষণা
- আপলোড সময় : ২৩-১১-২০২৪ ০১:০৬:০১ পূর্বাহ্ন
- আপডেট সময় : ২৩-১১-২০২৪ ০১:০৬:০১ পূর্বাহ্ন
শান্তিগঞ্জ প্রতিনিধি ::
শান্তিগঞ্জ উপজেলায় গণসমাবেশ করেছে জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের শান্তিগঞ্জ উপজেলা শাখার একাংশ। সমাবেশে জমিয়তের কেন্দ্রীয় কমিটির প্রচার সম্পাদক সৈয়দ তালহা আলমকে আগামী সংসদ নির্বাচনে সুনামগঞ্জ-৩ (শান্তিগঞ্জ-জগন্নাথপুর) আসনের জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের মুফতি ওয়াক্কাস গ্রুপের প্রার্থী বলে ঘোষণা করেছেন দলটির কেন্দ্রীয় কমিটির সিনিয়র সহ-সভাপতি মাওলানা শহীদুল ইসলাম আনসারী।
শুক্রবার (২২ নভেম্বর) বিকেল ৫টায় শান্তিগঞ্জ বাজারে অনুষ্ঠিত গণসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এই ঘোষণা দেন।
সৈয়দ তালহা আলম সম্ভাব্য কোনো প্রার্থী নয়, নিশ্চিত প্রার্থী উল্লেখ করে মাওলানা শহীদুল ইসলাম আনসারী বলেন, সৈয়দ তালহা একজন উপযুক্ত মানুষ। কেন্দ্রের পক্ষ থেকে আমরা পরামর্শ করেই তাকে এই আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য নির্বাচিত করলাম। তাকে ভোটারদের হাতে তুলে দিয়ে গেলাম। আমি জগন্নাথপুরে অনেক মানুষের সাথে কথা বলেছি। সেখানেও তার গ্রহণযোগ্যতা আছে। সৈয়দ তালহা কোনো সম্ভাব্য প্রার্থী নয়, নিশ্চিত প্রার্থী। আমাদের বিশ্বাস, তার মতো যুবক সুনামগঞ্জ-৩ আসনে সর্বোচ্চ ভোটে নির্বাচিত হয়ে সংসদে দাঁড়িয়ে শান্তিগঞ্জ-জগন্নাথপুরের অবহেলিত মানুষের পক্ষে কথা বলবে।
গণসমাবেশে সভাপতিত্ব করেন শান্তিগঞ্জ উপজেলা জমিয়তের (মুফতি ওয়াক্কাস গ্রুপ) নবনির্বাচিত সভাপতি মাওলানা হোসাইন আহমদ।
নবনির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক মাওলানা এমএ হাফিজ, শহীদুর রহমান ও সাদিকুর রহমানের যৌথ পরিচালনায় সমাবেশে বিশেষ মেহমান হিসেবে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় জমিয়তের সহ-সভাপতি মাও. আবদুস শহীদ, সাবেক সংসদ সদস্য দেওয়ান শামসুল আবেদীন।
গণসমাবেশে প্রধান বক্তার বক্তব্য রাখেন সুনামগঞ্জ-৩ আসনে সংসদ সদস্য প্রার্থী কেন্দ্রীয় জমিয়তের প্রচার স¤পাদক স¤পাদক সৈয়দ তালহা আলম।
তিনি বলেন, বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান বুঝেশুনেই ধানের শীষ প্রতীক জমিয়তকে দিয়েছিলেন। জমিয়ত কোনো ভাড়াটিয়া দল নয়। এভাবে ভাড়াটিয়া বলাটা রাজনৈতিক শিষ্টাচারের মধ্যে পড়ে না। যখন বিএনপির ভাইয়েরা রাস্তায় দাঁড়াতে পারেননি, তখন আমি জগন্নাথপুর-শান্তিগঞ্জে ফ্যাসিস্ট হাসিনার রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে অবৈধ ভোটের বিরুদ্ধে লিফলেট বিতরণ করেছিলাম। আমাদের দলেই ঘাপটি মেরে থাকা আওয়ামী লীগের সুবিধাভোগীরা তখন আত্মগোপনে ছিলেন।
বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় জমিয়তের যুগ্ম-মহাসচিব মাওলানা রশিদ বিন ওয়াক্কাস, সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা জাকির হোসাইন খান, সহকারী মহাসচিব হাফিজ রশিদ আহমদ, সহ সাংগঠনিক স¤পাদক মাওলানা মাহমুদুল হাসান জিহাদী।
অন্যান্যদের মাঝে বক্তব্য রাখেন- সুনামগঞ্জ জেলা জমিয়তের সহ-সভাপতি মাওলানা আবদুল গফফার, জগন্নাথপুর উপজেলা জমিয়তের আহ্বায়ক মাওলানা উজায়েরুল হক মমনু, জামালগঞ্জ উপজেলা জমিয়তের সাধারণ সম্পাদক মাওলানা আব্দুল্লাহ আলমগীর, সুনামগঞ্জ সদর উপজেলা জমিয়তের সাধারণ সম্পাদক হাফিজ মনিরুল ইসলাম, নবগঠিত শান্তিগঞ্জ উপজেলা কমিটির নির্বাহী সভাপতি মাও. খলিলুর রহমান, জগন্নাথপুর পৌর জমিয়তের আহ্বায়ক মাও. ওয়ালী উল্লাহ ওলী, মাও. কবির আহমদ, জগন্নাথপুর উপজেলা জমিয়তের সদস্য সচিব মাও. এরশাদ খান আল হাবিব, সুনামগঞ্জ সদর জমিয়তের যুব বিষয়ক সম্পাদক মাও. শাহীনূর রহমান শাহীন, জেলা যুব জমিয়তের সদস্য সচিব মাও. ছালিক আহমদ, জেলা ছাত্র জমিয়তের আহ্বায়ক মুহাম্মদ সুহাইল আহমদ, সদস্য সচিব আহমেদ মারজান, যুবনেতা মাও. ওয়েস আহমদ, মাও. হাফিজুর রহমান ও মাও. আফাজ উদ্দিন প্রমুখ।
এসময় শান্তিগঞ্জ উপজেলা জমিয়ত, যুব জমিয়ত ও ছাত্র জমিয়তের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
দ্বিতীয় অধিবেশনে শান্তিগঞ্জ উপজেলা জমিয়তের (মুফতি ওয়াক্কাস গ্রুপ) ৫১ সদস্যবিশিষ্ট কমিটি ঘোষণা করেন সৈয়দ তালহা। কমিটিতে মাও. হোসাইন আহমদকে সভাপতি, এম. আবদুল হাফিজকে সাধারণ সম্পাদক, মাও. খলিলুর রহমান খলিলকে নির্বাহী সভাপতি ও হাফিজ হোসাইন আহমদকে সাংগঠনিক সম্পাদক করা হয়।
নিউজটি আপডেট করেছেন : SunamKantha
কমেন্ট বক্স
সর্বশেষ সংবাদ